করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে দ্বীর্ঘ লকডাউনে বেশির ভাগ মালয়েশিয়া প্রবাসী কাজ হারিয়েছেন। বেতন না পেয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।
করোনার প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে। আবার অনেকের চাকরি থাকলেও পাচ্ছেন না বেতন। তিন মাস ধরে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে আশার কথা হচ্ছে, মালয়েশিয়ায় গণহারে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এর আওতায় বৈধ-অবৈধ সকল অভিবাসীদের বিনামূল্যে টিকা দেয়া হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিলে কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে দীর্ঘদিনের লকডাউনে এরই মধ্যে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটির সব খাত। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কলকারখানা। লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে কিছুটা শিথিল করেছে মাত্র। এতেই বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশী শ্রমিকরা।
দেশটিতে কর্মরত বেশ কয়েকজন প্রবাসী শ্রমিক জানিয়েছেন, চাকরি হারানোর কারণে বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছেন না। খাবার সংকটে নিজেরাও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
কারও খাবার সংকট, পাসপোর্ট সমস্যা/আবেদন, অর্থ অভাবে দেশে ফিরতে না পারা প্রবাসীদের নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়,করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে সরকারি ও বেসরকারী সংস্থা গুলোর সহায়তা ছাড়া এ সংকট থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। সরকারি ভাবে প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তা দেয়া জরুরি। কেননা প্রবাসীদের অনিশ্চিয়তা ও উৎকণ্ঠা আরো বাড়ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।